Monday, August 13, 2012

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

প্রথমে তোমার হুঙ্কার শুনে সেদিন কেপে উঠেছিল ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর এর পুরো বাড়ীট। তোমার সেই হুঙ্কার শুনে কেপে উঠেছিল তোমাকে হত্যা করতে আসা সৈনিক এর হৃদয়।তারা জানত তুমি মৃত্যু কে ভয় করনা।তুমি ভয় করনা রক্তের ঘন লাল রং কে। বরং তুমি ভয়ংকর ভালোবাসো এই ঘন লাল রং এর সাথে মিশ্রিত সবুজ রং এর একটি পতাকা কে। ১৯৭১ এর ৭ই মার্চ এ ওরা তোমার সেই রক্ত পাগল করা ভাষণ শুনেছিল।ওরা জানত তুমি কথা বলা শুরু করলে আর সবাই নীরব থাকত। তাই ওরা তোমাকে আর অবকাশ দেয়নি কোনও কথা বলার। তবে ওদের সৌভাগ্য যে আমরা বর্তমান প্রজন্ম তখন নেহাতই শিশু ছিলাম। ঠিক রাসেল এর মত নিষ্পাপ।রাজনীতির ঘোরপ্যাঁচ,রক্তের ঘন লাল রং,দেশ পতাকা সর্বোপরি মানচিত্র এসব কিছু রাসেল এর মতো আমরাও বুঝতাম না। যদি বুঝতাম তাহলে আজ ইতিহাস লিখা হতো ভিন্ন ভাবে। ওদের সৌভাগ্য কিন্তু আমাদের চরম দুর্ভাগ্য। আজ তোমার মতো একজন মানুষ আমাদের ভীষণ দরকার । আমরা নেতৃত্ব বিহীন একটি জাতি আজ তোমার মৃত্যুর ৩৭ বসর পরও প্রতিটি মুহূর্ত প্রতিটি ক্ষণ এ তোমার মত আর একজন শেখ মূজীব কে পাগল এর মতও খুঁজে ফিরছি | আমি নিশ্চিত তোমাকে হত্যা করতে আসা প্রতিটি সৈনিক জানত তুমি একটি ভয়ংকর সাহসী মানুষ। এতটাই সাহসী যে পাকিস্তানী বর বর জাঁদরেল আর্মি অফিসার ও তোমার সামনে কথার খেই হারিয়ে ফেলত।আবার তুমি এতটাই আবেগি ছিলে যে পাকিস্তানী কারাগার হতে মুক্ত হোয়ে দেশ এর খবর জানার পর কান্নায় দু চোখ ভাসিয়ে দিয়েছ।১৯৭২ এ তুমি যখন দেশ এ ফের তারও ৪ বসর পর আমি জন্ম গ্রহন করেছি,কিন্তু আজ এই ২০১২ সন এ এসেও যখন তোমার ৭ই মার্চ এর সেই বজ্র কণ্ঠ স্বর শুনি বিশ্বাস কর আমার শরীর এর প্রতিটি রক্ত কনা টগবগ করে ফুট তে শুরু করে। শরীর যেন আপনা থেকেই বিদ্রোহী হয়ে যুদ্ধে যেতে চায়।

No comments:

Post a Comment